একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর এই জয়ের অন্যতম অংশীদার যে আইপ্যাক, তা বলাই বাহুল্য। উনিশের লোকসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূলের রণকৌশল সাজাচ্ছে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের এই সংস্থা। হাতেনাতে যার ফলও মিলেছে। এবার তৃণমূলের পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর তাতেও আইপ্যাকের ওপরেই আস্থা রাখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সূত্রের খবর, সেজন্য শীঘ্রই জেলা সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বের কাজকর্মের একটি রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে আইপ্যাক। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শীঘ্রই সংগঠনকে সাজানোর কাজ শুরু হবে। সেক্ষেত্রে নেওয়া হতে পারে একাধিক বড় পদক্ষেপ। শোনা যাচ্ছে, কোনও বড় জেলাকে ভেঙে সাংগঠনিক জেলা করা হতে পারে। প্রয়োজনে সাংগঠনিক সভাপতিদের মাথায় বসানো হতে পারে চেয়ারম্যানকে।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি শুরু করতে উদ্যোগী হয় তৃণমূল। মন্ত্রী এবং জেলা সভাপতির পদে থাকা একই ব্যক্তিদের নির্ধারিত পদ বেছে নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর কেবল জেলা সভাপতি নয়, এবার হয়ত সংগঠনের একাধিক স্তরেই এই এক ব্যক্তি এক পদ নীতি প্রয়োগ করতে পারে শাসকদল। শেষ ভোটে যাঁরা ভাল কাজ করেছেন তাঁদের পুরস্কৃত করা হতে পারে।