বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছে জ্বালানির দাম বাড়ানোর বহর। মাঝে একদিন বিরতির পর সেই পথে হেঁটেই ফের বাড়ল পেট্রোলের দাম। যদিও সামান্য কমেছে ডিজেলের মূল্য।
রবিবার অপরিবর্তিত ছিল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। আজ, সোমবার, লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা বেড়ে আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০১ টাকা ৩৫ পয়সা। অন্যদিকে, প্রায় সাতাশি দিন পরে কমল ডিজেল। যদিও তা খুবই সামান্য। কলকাতায় লিটারে মাত্র ১৬ পয়সা। ফলে জ্বালানিটির দাম দাঁড়াল ৯২ টাকা ৮১ পয়সা।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এক বছরে যে ডিজেলের দাম লিটার পিছু প্রায় ১৭ টাকা বেড়েছে, তার ১৬ পয়সা সস্তা হওয়া সমুদ্র থেকে এক বিন্দু জল তোলার মতো। তাতে কারওই বিশেষ লাভ হওয়ার কোনও কারণ নেই। বিশেষ করে পেট্রলের মতো ডিজেলের দামও যেখানে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যার মতো রাজ্যে ‘সেঞ্চুরি’ দেখে ফেলেছে। কিছু কিছু জায়গায় ১০০ ছুঁইছুঁই।
করোনা আবহে যেখানে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, সেখানে এইভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। জিনিসপত্রের আগুন দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এই সাঁড়াশি চাপে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রমের করা উচিত। জিএসটি আওতায় আনছে না। এটা আনলে ভাল হতো।