বর্তমানে ‘দুষ্কৃতীদের রামরাজ্য’ নামেই পরিচিত উত্তরপ্রদেশ। স্বাধীনতা দিবসের আগে সেখানেই ফের আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল দুই আল কায়দা জঙ্গীর। উত্তরপ্রদেশের একাধিক বড় শহরে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনাও ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের পেশোয়ার হয়ে, ভারতে ঢুকেছিল তারা। তদন্তকারীরা আরও জানান, দিল্লী, লখনউ সহ উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জনবহুল শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনাও করেছিল। অবশ্য অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের তৎপরতায় নাশকতার ছক বানচাল হয়ে যায়।
রবিবার লখনউয়ের কাকোরি এলাকায় অভিযান করে দুই জঙ্গীকে পাকড়াও করে সন্ত্রাসদমন শাখা। ধৃত জঙ্গীদের নাম মিনাজ আহমেদ ও মাসিরুদ্দিন ওরফে মুশির। এটিএসের আইজি জি.কে গোস্বামীর নেতৃত্বে এই অভিযান করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত জঙ্গীরা আল কায়দার মদতপুষ্ট আনসার ঘাজওয়াত-উল-হিন্দ সংগঠনের দুই সক্রিয় হ্যান্ডলার। তাদের আরও কিছু হ্যান্ডলার কানপুর ও লখনউতে আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাদের খোঁজ হচ্ছে। ধৃতদের জেরা করে তদন্তের গতি বাড়ানো হচ্ছে।
এই জঙ্গীদের লখনউতে আশ্রয় দিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। কাকোরি এলাকার তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই ২জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মাসিরুদ্দিন বা মুশির বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। হামলার ষড়যন্ত্র ছিল তারই। ফরিদপুর দুবাগ্গা এলাকার জঙ্গীদের গা-ঢাকা দিতে সাহায্য করার তিন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের নাম শাহিদ, সিরাজ ও রিয়াজ।
জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের আগে লখনউ ও অন্যান্য বড় শহরগুলি, এমনকি মথুরা ও কাশীতেও ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ৬-৭ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক, ২টি প্রেসার কুকার বোমা, বিদেশি কোম্পানির পিস্তল, টাইম বোমা উদ্ধার হয়েছে। এত বিস্ফোরক, বোমা কোথা থেকে এলো তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে।