ভোটোত্তর বাংলায় রাজ্যে হিংসার ঘটনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল সহ রাজ্য বিজেপি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ব্লক সভাপতি পদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেলাগাম হিংসা, সংঘর্ষ, মনোনয়ন পেশে বাধা সহ একাধিক অভিযোগ আসছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ যোগী সরকার। শাসকদলের এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি।
বিএসপি, কংগ্রেস সহ উত্তরপ্রদেশে ৮৭ জন প্রাক্তন আমলা তীব্র কটাক্ষ করেছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। চিঠির মাধ্যমে তারা সরকারের এই ঘৃণ্য আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিরোধীদের দাবি, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কে কেন্দ্র করে এমন হিংসা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তাদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে যোগী সরকার।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর এই হিংসার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এবং টুইট করে উত্তর প্রদেশের হিংসার নাম বদলে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ করা উচিত বলে জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তীব্র নিন্দা করে টুইটে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর আগে এক মহিলা বিজেপি এক বিধায়কের দ্বারা ধর্ষনের শিকার হন। প্রতিবাদ করায় তাকে এবং তার পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। আজ সেই মহিলা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে বিজেপি কর্মী দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হন।
যোগীর রাজ্যে মহিলাদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ, অসম্মান নতুন ঘটনা নয়। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হাতরাসের ঘটনা। পঞ্চায়েত ভোটে মহিলাদের প্রতি দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে ও মনোনয়নপত্র পেশ করা কে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনার বিরুদ্ধে বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেনন। এটাই কি বিজেপি শাসন ব্যবস্থা? বিজেপি সরকারের উচিত অবিলম্বে মহিলাদের প্রতি যে দুর্ব্যবহার চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করা।