বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জার্নাল ল্যানসেট ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ হিসেবে ধর্মীয় জমায়েত কে দায়ী করেছে। দ্বিতীয় ঢেউ যখন চূড়ান্ত পর্যায় তখন দলে দলে পুণ্যার্থী কুম্ভমেলায় যোগদান করেন। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ধর্মকেও সম্মান গুরুত্ব দিয়ে নিজের সাফাই দেয় বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকার। এবার সেই কুম্ভমেলায় করোনা পরীক্ষার পিছনে বড় দুর্নীতির ঘটনা সামনে এলো।
মন গড়া নাম, ফোন নম্বর খাতায়-কলমে দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এক লক্ষ মানুষের পরীক্ষা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তে নেমে তদন্তকারীদের চক্ষু চড়কগাছ। ফোন নম্বর গুলিতে যোগাযোগ করে জানা যাচ্ছে তারা কুম্ভমেলাতেই যোগদান করেনি। তাহলে কি বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতেই এমন পদক্ষেপ বিজেপি সরকারের?
কুম্ভ মেলা কে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হলে উত্তরাখণ্ড সরকার ১১টি বেসরকারি সংস্থাকে করোনা পরীক্ষার জন্য বরাদ দেয়। সেই সংস্থা গুলি পরীক্ষার রিপোর্ট ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস্’ এ জমা দিতে এই রিপোর্টের গরমিল ধরা পড়ে। পাঞ্জাবের বাসিন্দা বিপিন মিত্তিলের কাছে হরিদ্বার থেকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পৌঁছালে তিনি উত্তরাখণ্ডে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লিখে জানান তিনি কুম্ভ মেলায় যোগদান করেননি। এমন একাধিক অভিযোগ উত্তরাখণ্ড সরকার ৮জন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। এর পরে ভুয়ো নাম ও ফোন নম্বর এর ঘটনা সামনে আসে।