দেশজুড়ে পেট্রোল, ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার মানুষ। কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা পেরিয়েছে ইতিমধ্যেই। কেন্দ্রীয় সরকারের যথাযথ নীতির অভাবেই এমন বেলাগাম দাম, এই অভিযোগে বরাবরই সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা দলীয় নেত্রীর নির্দেশে ১০ এবং ১১ জুলাই অর্থাৎ শনি ও রবিবার ব্লকে ব্লকে ম্যারাথন বিক্ষোভ কর্মসূচিমী চলছে তৃণমূলের। দলের কর্মী, সমর্থরা পোস্টার, ব্যানার নিয়ে ধরনায় বসেছেন। কোথাও গ্যাস সিলিন্ডার নিয়েও চলছে বিক্ষোভ। শনিবার দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি পেট্রল পাম্পে এই কর্মসূচীতে যোগ দিতে আচমকা পৌঁছে যান যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। কর্মীদের চাঙ্গা করতে তাঁর এই উদ্যোগ। তরুণ নেত্রীকে দেখে বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়িয়ে তুললেন কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিনভর এর প্রতিবাদে সরগরম রইল বিভিন্ন জেলা। দুর্গাপুর ২ নং ব্লক তৃণমূলের ডাকে দুর্গাপুরের ইন্ডিয়ান অয়েল অফিসের সামনে তৃণমূলের অবস্থান-বিক্ষোভ, গরুর গাড়ি চেপে চলে মিছিল। বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও সাইকেল চালালেন বিধায়ক, কোথাও গরুর গাড়িতে সওয়ার হন জনপ্রতিনিধিরা। টাটা সুমো গাড়ি দড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে গেলেন তৃণমূল কর্মীরা। এছাড়া নিজ নিজ এলাকায় কোনও না কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেল বিধায়কদের। হাওড়ায় অরূপ রায়, বারাকপুরে রাজ চক্রবর্তী, ভবানীপুর ফিরহাদ হাকিমরা সামনে থেকে পেট্রোপণ্যের প্রতিবাদে সোচ্চার হন।
এদিন আচমকা কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে নজর কাড়লেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী। দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি পেট্রল পাম্পে আকস্মিক পরিদর্শনে পৌঁছে গিয়েছিলেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী। প্রত্যেকটি জায়গায় গিয়ে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করলেন তিনি, সঙ্গে স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচীরও তত্ত্বাবধান করলেন। সকলকে কোভিড বিধি মাথায় রেখে সচেতনভাবে ২ দিনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ চালানোর আবেদন জানালেন তিনি, সঙ্গে সহকর্মীদের অনুপ্রাণিত করতেও ভুললেন না। তরুণ নেত্রীর উপস্থিতিতে যেন আরও তেতে উঠলেন কর্মীরা।।অন্যদিকে, রাজ্যের বাইরেও এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ল। লখনউতে পথ অবরোধে শামিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূলের এহেন প্রতিবাদ কর্মসূচীকে কটাক্ষ করে দামবৃদ্ধির দায় পরোক্ষে রাজ্য সরকারের উপরেই চাপিয়েছে গেরুয়া-নেতৃত্ব।