ফের যোগীরাজ্য। এবার জাত বলতেই এক যুবকের ওপর চলল যথেচ্ছ লাথি, ঘুষি। সেই সঙ্গে চলল লাঠিপেটা। উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাতে ঘটে যাওয়া এমনই এক ঘটনার ভিডিও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মারধরে যুক্ত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
শনিবার পুলিশ জানায়, দু’দিন আগে কানপুর দেহাতের আকবরপুর অঞ্চলে এক যুবককে ওইভাবে মারধর করা হয়। কানপুর দেহাতের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘনশ্যাম চৌরাসিয়া বলেন, “আমরা ওই ভিডিও দেখার পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ভিডিওতে যাদের মারধর করতে দেখা গিয়েছে, তাদের একজন গ্রেফতার হয়েছে। আরও দু’জনের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। সেজন্য পুলিশের বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে।”
অপর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবককে একটি গাছের সামনে দাঁড় করানো হয়েছে। তার হাতদু’টি ধরে আছে এক ব্যক্তি। অপর একজন লাঠি দিয়ে আঘাত করছে যুবকের গোপন অঙ্গে।
কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের আরও একটি ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। গত ৮ জুলাই উত্তরপ্রদেশে ব্লক পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশ করতে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। পথে দুই দুষ্কৃতী তাঁর শাড়ি ধরে টানাটানি করে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলা অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সদস্য। লখনউ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে লখিমপুর খেরি অঞ্চলে ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ অফিসার প্রশান্ত কুমার জানান, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশ করাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের অন্তত এক ডজন জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার ৮২৫ টি ব্লক প্রমুখ পদে নির্বাচন হবে। প্রশান্ত কুমার বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, অনেক জায়গায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে।” দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।