পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ ও কাল রাজ্য জুড়ে পথে নেমেছে তৃণমূল। রাজ্যের ২৯৪ আসনেই চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। তৃণমূল যুব সংগঠনও রাস্তায় নেমেছে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে। প্রথম দিনেই পথে ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। আর নেটদুনিয়ায় এই প্রতিবাদকে সফল করতে তৃণমূলের হাতিয়ার খোদ অটলবিহারী বাজপেয়ীর একটি ভিডিও। ১৯৭৩ সালে তেলের দাম ৭ পয়সা বেড়ে যাওয়ায় গোরুর গাড়িতে চড়ে সংসদ ভবনে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের সৌজন্যে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিওই।
এ দিন আরও একবার ভিডিওটি শেয়ার করে আগামী দুদিনের কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন। রাজ্য জুড়ে সব পেট্রোল পাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কাজও চলছে।
গত ৪০ দিন কলকাতায় লাগাতার বেড়েছে পেট্রোলের দাম। সরাসরি টান পড়ছে মধ্যবিত্তর পকেটে। পাল্লা দিয়েই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও। তৃণমূল চাইছে এই ইস্যুকে বৃহত্তর মঞ্চে কাজে লাগাতে।একদিকে যেমন প্রত্যেক বিধায়ক-নেতা স্ব স্ব জেলায় পথে নামছেন,তেমনই আসন্ন বাদল অধিবেশনে লোকসভাতেও এই নিয়ে ঝড় তুলতে চায় তৃণমূল। সেক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই সংসদ কক্ষে নেতৃত্ব দেবেন।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন, জ্বালানি কর কমানোর প্রস্তাব দিয়ে। চিঠিতে মমতা স্পষ্ট পরিসংখ্যান তুলে দিয়ে লিখেছেন, মে মাসে ৮ বার পেট্রোলের দাম বেড়ে গিয়েছে। জুনে দাম বেড়েছে মোট ৬ বার। আর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই ৪ বার দাম বাড়ল পেট্রোলের। পাশাপাশি তিনি সেস নিয়েও কেন্দ্রকে বিঁধেছেন। আগামী দিনে তিনি এই ইস্যুতে আরও সুর চড়াবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নোটবন্দীর সময় থেকেই জনতার ইস্যুতে দ্রুত বিরোধিতার অবস্থান নেওয়া তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছে না।