মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই চর্চায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বারবার তাঁর নীতি, মন্তব্যে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কয়েকদিন আগেই আসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যখন কেউ আমাকে প্রশ্ন করে কেন গুলি চালানোর ঘটনা আপনার রাজ্যে একটা প্যাটার্ন হয়ে যাচ্ছে? তখন আমি বলি এটা প্যাটার্ন হওয়া উচিত। কারণ এটা হেফাজত থেকে কোনও অপরাধীকে পালিয়ে যেতে বাধা দেয়’।
এ বার তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা আইনি পর্যবেক্ষণের দাওয়াই দিল কংগ্রেস। সে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বোরার অভিযোগ, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে অসমকে ‘পুলিশ রাজ্যে’ পরিণত করছে মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য। সাংবাদিকদের রিপুন বোরা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মনে রাখা উচিত, সুপ্রিম কোর্ট ও গুয়াহাটি হাই কোর্ট জানিয়েছে, অপরাধী যতই অপরাধ করুক না কেন, তাকে জীবন্ত বিচারালয়ে আনতে হবে। পুলিশের গুলি চালানোর কোনও অধিকার নেই, যদি না আত্মরক্ষার প্রসঙ্গ আসে’।
বিপাকে পড়ে পরে অবশ্য সাংবাদিকদের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, পুলিশের শুটআউটের কোনও অনুমতি নেই। অপরাধ আইন বিচার করবে। তাঁর ব্যাখ্যা শুটআউট তখনই হয়, যখন আর কিছু করার থাকে না। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট বলছে, আসামে মে মাস থেকে অন্তত ১২ জনের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে, যাঁরা হেফাজত থেকে পালিয়ে যেতে চাইছিল। ধর্ষণ ও গরু পাচার চক্রে অভিযুক্ত অনেকেই গুলিতে আহত হয়েছে। এই মর্মে আসম জাতীয় পরিষদও আক্রমণ করেছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। এজেপি সাধারণ সম্পাদক জগদীশ ভুয়ানের দাবি, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও পুলিশের বড় মাথার যোগাযোগ রয়েছে, তাই ‘বসদের’ বাঁচাতে একের পর এক এনকাউন্টার হচ্ছে।