বিজেপিতে কটাক্ষ, পাল্টা কটাক্ষের পালা চলছেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কিছুটা অভিমান নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। লিখেছিলেন, ‘আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে’। পরক্ষণেই অবশ্য পোস্ট ডিলিট করে দেন। বলেন, কথাটা এভাবে ব্যবহার করা হয়তো ঠিক হয়নি।
এরপরই সরাসরি বাবুলকে আক্রমণ শানান দিলীপ। বলেন, ‘আরও ১২ জন মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছে, কই, তাঁরা তো এভাবে লেখেননি। বরখাস্ত করলে ভালো হত’! এরপর ব্যাপারটা থেমে গিয়েছিল। বাবুলের তরফে পাল্টা বিবৃতি আসেনি। কিন্তু দিলীপ ঘোষ থামতে দিলে তো!
বাবুলের মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলেছিলেন, ‘এখন ওঁরা খারাপ হয়ে গেল’। সেই রেশ ধরে দিলীপ বলেছিলেন, ‘মন্ত্রী থাকাকালীন তো মুখ্যমন্ত্রী কম গালমন্দ করেননি। এখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বাবুল’। দিলীপের এই মন্তব্যই ভালো ভাবে নেননি বাবুল। তাঁর কথায়, ‘দিলীপদা কি আনন্দ পেয়েছেন!’
সরাসরি আক্রমণ নয়, হালকা শ্লেষ মিশিয়েই ফেসবুকে নাতিদীর্ঘ পোস্ট করেন বাবুল। সেখানে লিখেছেন, ‘রাজ্য সভাপতি হিসেবে ম্নের আনন্দে দিলীপদা অনেক কিছুই বলেন। আবারও বললেন, আমি শুনলাম। কিন্তু এই উক্তিটি কেন করলেন সেটা যদি এবারে আমি সজ্ঞানে বুঝেও না বুঝি তো ক্ষতি কী? …আমার হাঁফ ছেঁড়ে বাচায় দিলীপদা আনন্দ পেয়েছেন এতেই আমি আনন্দিত। উনি রাজ্য সভাপতি, সবার শ্রদ্ধার পাত্র। আমিও আন্তরিক শ্রদ্ধা জানালাম প্রিয় দিলীপদাকে’। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তবে কি বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হচ্ছে? বিজেপি সূত্রে খবর, প্রকাশ্যে এ ভাবে রাজ্য সভাপতিকে ব্যঙ্গ করায় শোকজও করা হতে পারে বাবুল সুপ্রিয়কে।