জন্মদিনেও রাজনীতি পিছু ছাড়ল না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। জল্পনার সূত্রপাত হয় মহারাজের বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে যাওয়া নিয়ে। ফুল দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট বেহালার বাড়িতে ছিলেন মমতা। তারপর থেকেই কানাঘুষো শুরু হয়। তবে কি মহারাজ এবার রাজ্যসভায় পাড়ি দিচ্ছেন? বিসিসইআই সভাপতি থেকে সোজা রাজ্যসভার সাংসদ? এই নিয়ে জল্পনার মাঝেই বিতর্ক কিছুটা উস্কে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
শুক্রবার গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘যতই মুখ্যমন্ত্রী কেবলমাত্র শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে সৌরভের বাড়িতে যান না কেন, আমরা জানি রাজনীতির বাইরে নেতা-নেত্রীরা এক পাও রাখতে পারেন না। তবে আমাদের সৌরভকে নিয়ে কোনও আপত্তি নেই।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দাদার বাড়িতে দিদির উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা যেন দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। আবার আরেকাংশের মতে, মহারাজকে বিধান পরিষদেও মনোনিত করতে পারেন মমতা।
সৌরভের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক বহুদিনের। এমনকী, সৌরভ যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ সৌরভের বাড়িতে যান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে আসার পর সস্ত্রীক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিচে নেমে আসেন। সেখানেই চলে সৌহার্দ্য বিনিময়। সৌরভের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি দাদার হাতে উপহার এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর হাতেও পালটা উপহার হিসেবে একটা সিল্কের শাড়ি তুলে দেন সৌরভের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।