এ যেন মগের মুলুক! বিনা অনুমতিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে একাধিক মুসলিম মহিলার ছবি। ‘সুল্লি ডিলস’ নামক একটি অ্যাপে সেইসব ছবি দিয়ে বোঝানো হয়েছে, ‘তাঁরা বিক্রি হওয়ার জন্য’। আর এই ‘সুল্লি’ বা ‘সুল্লা’ শব্দটি মুসলিমদের প্রতি অবমাননাকর। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই শোরগোল ছড়িয়েছে। দিল্লী পুলিশ অভিযোগ পেয়ে এ ব্যাপারে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজনের নামে এফআইআর দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ ধারায় যৌন হেনস্থার মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লী পুলিশের মুখপাত্র চিন্ময় বিসওয়াল।
সুল্লি ডিলস মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ন্যাশনাল সাইবারক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। ছবিগুলি আপলোড করা হয়েছে সোর্স কোড ডিপোজিটরি প্ল্যাটফর্ম গিটহাব ব্যবহার করে। তাদেরও প্রাসঙ্গিক বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করতে বলে নোটিস দিয়েছে পুলিশ। টার্গেট হওয়া মহিলাদের কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রিনশট দিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ গিটহাবকে জানাতে বলেছে, ঠিক কতজন মহিলার সঙ্গে এমনটা করা হয়েছে।
দিল্লী মহিলা কমিশন ইতিমধ্যেই দিল্লী পুলিশকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট দিতে বলেছে। নোটিস পাঠিয়ে কমিশন বলেছে, অনেক মহিলাকেই সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ছাড়তে হয়েছে তাঁদের ছবি ছড়িয়ে পড়ায়। এটা মারাত্মক ব্যাপার, গুরুতর সাইবার ক্রাইম। দিল্লী পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখাকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাঠাতে বলেছি। বিসওয়াল বলেন, সাইবার ক্রাইম ইউনিট মামলাটি রুজু করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। গিটহাবকে বলা হয়েছে সব তথ্য শেয়ার করতে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ জুলাই অ্যাপে ওই মহিলাদের ছবি আপলোড করা হয়। ওই মহিলাদের মধ্যে ভারতে, বিদেশে পরিচিত সমাজকর্মী, সাংবাদিকরা আছেন। অ্যাপটি হোস্ট করেছে গিটহাব, ইন্টারনেট হোস্টিং প্রোভাইডার। ছবি আপলোড করা হয়েছে, এমন কয়েকজন মহিলা পুলিশি ব্যবস্থা দাবি করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ঝড় ওঠে। অ্যাপটি সরিয়ে দেওয়া হয়।