কঠিন আসন থেকে জিতে এসেছেন তিনি। আর বিধানসভায় এসে সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক অভিনেত্রী লাভলি মৈত্র রীতিমতো তুলোধনা করলেন বিরোধী দল বিজেপিকে। মহিলাদের সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের ত্রুটি-বিচ্যুতিও তুলে ধরেন তিনি। এদিন নারী এবং শিশু কল্যাণ দফতরের বাজেট ভাষণে বক্তব্য রাখতে উঠে লাভলি বলেন, “কেন বিরোধী দলের নেতারা অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলেন? ওদের খারাপ ভাষায় কথা দেখে অবাক লাগে।”
পাশাপাশি, এদিন বিজেপির মহিলা বিধায়ক মুখ অগ্নিমিত্রা পালের করা মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যেরও তীব্র নিন্দা করেন লাভলি মৈত্র। তাঁর কথায়, “২০১১ সালের আগে বাংলায় মহিলাদের অবস্থা কী ছিল? গতকাল, আমাদের বিরোধী দলের এক সদস্যা কীভাবে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলেন?” এরপরই তৃণমূলের বিষয়ে বলতে গিয়ে লাভলির দাবি, “আমি সেই রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি, যারা মহিলাদের হয়ে ভাবে। সৌন্দর্য আসলে বাহ্যিক নয়, অন্দরে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রত্যেকটা মেয়েকে শিক্ষিত করতে পারলেই সমাজ এগোবে। তাই তো কন্যাশ্রী বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।নারী কল্যাণে আমাদের বাংলা এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। বাংলার মা-বোনেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন।”
ব্যারাকপুরের বিধায়ক তথা চিত্রপরিচালক রাজ চক্রবর্তীও বলেন, “আমার লড়াইটা সহজ ছিল না। প্রথম দিন যখন প্রচার শুরু করেছিলাম তখনই একটা কথা মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম লড়াই যত কঠিনই হোক মাঠ ছেড়ে যাব না। খেলা হবে শুধু স্লোগান নয়, চেয়েছিলাম খেলা হবে শব্দটার স্পিরিটটাকে নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করতে। আমার চ্যালেঞ্জ ছিল দলের কর্মীদেরকে চাঙ্গা করা। বহু মানুষ বহু সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন, দ্বিধা না রেখে তাদের কথা শুনে সেগুলোর দ্রুত সমাধান খুঁজে দেওয়া, এটা যে আমি করতে পারব সেই বিশ্বাসটুকু মানুষকে আমি দিতে পেরেছিলাম। এখন মানুষের ছোটখাটো সমস্যাও আমার চোখ এড়ায় না। আমি চেষ্টা করি সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করতে। কাজেই মানুষের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে থাকবে এই আশা রাখি।”