জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে শুক্রবার এমনই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাথমিক তদন্তে কোনও খামতি নেই। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সিবিআই তদন্তের আর্জি খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তের আর্জি জানিয়ে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তাও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারকরা।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ে হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর মধ্যে একটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। বাকি তিনটি মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্য়োতি তিওয়ারি, তাপস মাইতি ও আইনজীবী সন্দীপন দাস। সেই আবেদনেরই এদিন শুনানি চলছিল।
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, এই মুহূর্তে ১৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫০ জনকে জেরা করা হয়েছে। টিকা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্টের পরীক্ষা হচ্ছে। কয়েকটি রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষা। সেসব হাতে পেলেই চার্জশিট দাখিল করা হবে।
একইসঙ্গে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের ছবিও এদিন তোলা হয় আদালতে। পাল্টা সরকার পক্ষের আইনজীবী টানেন রাজ্যপাল ও প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ। প্রশ্ন তোলেন, দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষীর সঙ্গে ছবি থাকার জন্য কি রাজ্যপালকে দায়ী করা হবে? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে একজন মহিলার ছবি দেখা গিয়েছিল। অথচ তাঁর দাবি ছিল, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনওদিন দেখাই করেননি। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও আইনি লড়াই চলবে? এটাই কি আমাদের দেশের আইন?
এরপরই জাল টিকাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি জানিয়েছেন, আপাতত সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই মুহূর্তে রাজ্যের তদন্তে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে সিবিআই তদন্তের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।