অবশেষে রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় জট কাটল। এবার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যোগ্য আবেদনকারীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে এই পথ সুগম করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্য সরকার থেকে চাকরিপ্রার্থী – সকলেই। তবে অভিযোগকারীদেরও গুরুত্ব দিয়েছে হাই কোর্ট। অভিযোগগুলির নিষ্পত্তির দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপরেই দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে কমিশনের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। রাজ্য চাইলে শনিবার থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে দিতে পারে। তবে বৃহস্পতিবারের ইন্টারভিউ লিস্ট নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা যে অভিযোগ জানিয়েছেন তা ১২ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। যেহেতু গোটা প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট দেরি হয়েছে তাই চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে অন্তত ৫ বছর ছাড় দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
২০১৬ সালের এসএসসি-তে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের মামলা দায়ের করেন পরীক্ষার্থীরা। সেই মামলার শুনানিতে আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, ইন্টারভিউ তালিকা নতুন করে প্রকাশ করতে হবে। তাতে যেন পরীক্ষার্থীদের নম্বর-সহ নাম থাকে। যাঁরা ইন্টারভিউয়ের যোগ্যতা অর্জন করেননি, তাঁদেরও নম্বর জনাতে হবে। সাতদিনের মধ্যে তা প্রকাশিত হলেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।
সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে মেধা নম্বর সহ ১ লক্ষ ৩২ হাজার জনের ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সেই নিয়েই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ অসন্তোষ জানান। তাঁদের অভিযোগ, প্রাপ্ত নম্বর থাকলেও মেধা তালিকায় নাম নেই তাঁদের। এই অভিযোগে ফের ১৩৬ জন চাকরি প্রার্থী ফের মামলা রুজু করেন আদালতে। তবে এই প্রক্রিয়ার বিলম্বে আর রাজি নয় আদালত। তাই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে সেই অভিযোগগুলির নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।