দিদিকে বলো-র পরে নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে বাবাকে বলো৷ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যখনই দলত্যাগ বিরোধী আইনের কথা বলবেন তখনই পাল্টা বাবাকে বলো বলা হোক, নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমনই প্রচার। কাঁথির সাংসদ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর ছবি ও ফোন নাম্বার দিয়ে এই মিম ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোটা ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘যারা এমন প্রচার করছেন মানুষ তাঁদের মেনে নেবে না’।
বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতা নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে একটি মন্তব্য করেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন পেয়েছিলাম। তারপর একটি কর্মসূচি নিয়েছিলাম। যেখানে আমরা বলেছিলাম কন্যাশ্রী না পেলে দিদিকে বলো। রুপশ্রী না পেলে দিদিকে বলো। তাই বলছি দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে বলব, আপনি বাবাকে বলো কর্মসূচি নিন’।
এর পর থেকেই নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ‘বাবাকে বলো’। যেখানে দেখা যাচ্ছে শিশির অধিকারীর ছবি ও তার ফোন নাম্বার দিয়ে বাবাকে বলোর মিম। বিধানসভা ভোটের প্রচারে মার্চ মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এসেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সভায় হাজির হন সাংসদ শিশির অধিকারী। রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। ভোটের ফল প্রকাশের পরে অবশ্য সব হিসাব উল্টে গিয়েছে। এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সাংসদ সুনীল মন্ডল। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেয় তৃণমূল জানুয়ারি মাসে।
১৭ মে চিঠি দেওয়া হয় শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে। এরপরে ১১ জুন তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির বিধায়ক মুকুল রায়। এরপরে বিজেপি পালটা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করতে দলত্যাগ বিরোধী আইন কথা উল্লেখ করে চিঠি দেন স্পিকারকে৷ আগামী ১৬ জুলাই এই বিষয়ের শুনানি আছে। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দলত্যাগ বিরোধী আইনের কথা উল্লেখ করে। পাল্টা শিশির অধিকারীর প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতে চায় তৃণমূল শিবির। তাই তৃণমূল বিধায়কের ‘বাবাকে বলো টিপ্পনী নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।