মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। দলবদলের পর মানিকচক থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপরই তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে। ৮ জুলাই আস্থা বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে অনাস্থায় ত্রুটির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গৌরচন্দ্র মণ্ডল। আজ ওই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই আদালতের তরফে গৌরবাবুর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, আগামী ৮ জুলাই আস্থা বৈঠক হবে। তবে হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি। ফলে তৃণমূলের দখলেই রইল বোর্ড। এদিন নিজের ইস্তফা পত্র পাঠান ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে। ইস্তফা প্রসঙ্গে গৌরবাবু বলেন, “দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা নির্দেশ দিয়েছে সেই কারণেই ইস্তফা দিলাম।” রাজনৈতিক মহল জানিয়েছে, যেহেতু সভাধিপতি ইস্তফা দিয়েছেন, সেই কারণে আস্থা বৈঠক আর হবে না।
তবে মালদহ জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি কে হবেন, তা স্থির করতে বৈঠক ডাকা হতে পারে। উল্লেখ্য, মালদহ জেলা পরিষদ কার দখলে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। কারণ, প্রথমে ওই জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে থাকলেও একে একে সদস্যরা যোগ দেন বিজেপিতে। ফলে পিছিয়ে পড়তে থাকে তৃণমূল। যদিও পরবর্তীতে অনেকেরই ঘর ওয়াপসি হয়েছে। তারপর তৃণমূলের দাবি, ৩৭ আসনের মধ্যেই মালদহ জেলা পরিষদের ২৩ টি আসনই তাঁদের দখলে রয়েছে। অর্থাৎ, সেই দাবি অনুযায়ী বর্তমানে তৃণমূলের দখলেই রয়েছে বোর্ড।