অব্যাহত গেরুয়াশিবিরের ভাঙন। একুশের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। প্রচারে ঝড় তুললেও বিধানসভা ভোটে জিততে পারেনি বিজেপি। ভোটে হারার পর থেকেই বিজেপি ছেড়ে দলে দলে নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। যার প্রভাব পড়ল উলুবেড়িয়ায় গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। আর এই গ্রাম পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি যুযুধান ২ পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর তরজা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হাওড়া জেলার বহু নেতা-কর্মী। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে অনেকেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। কিন্তু বিধানসভা ভোটে হাওড়া জেলার ১৬ টি আসনেই বিপুল জয় পায় তৃণমূল। আর তারপর থেকেই বিজেপিতে থাকতে চাইছেন না কেউ। বিডিও অফিসে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আয়োজন করা ভোটাভুটি পর্ব। আর সেখানেই বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে নিল তৃণমূল।
বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৬ টি। বিজেপির দখলে ছিল ১০ টি আসন। তৃণমূলের দখলে ছিল ৪ টি আসন। সিপিএম এবং নির্দলের দখলে ছিল ১ টি করে আসন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূলের দিকে চলে আসে বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ সদস্য। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৯। এ প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, “বিজেপির থেকে আরও এক পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। ফলে আমাদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হবে ১০ জন। বিজেপিতে কেউই থাকতে চাইছেন না। তৃণমূলে যোগ দিয়ে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে কাজ করতে চাইছেন সকলে। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই সবাই তৃণমূলে আসছেন।”