বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বারংবার ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, এই হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ বারবার সেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধেই উঠেছে। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরেরর ভগবানপুর এলাকায় লাগাতার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে ভগবানপুর বিধানসভার ভূপতিনগর এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল শিবিরের মধ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা চলেছে। ভোট পর্ব মেটার দু’মাস পরও সেই অশান্তি অব্যাহত।
গত শুক্রবার থেকে রাজনৈতিক সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত ভূপতিনগরের বরোজ, অর্জুন নগর, বরোজ দক্ষিণখন্ড, বাসুদেববেড়িয়া, জুখিয়া, ইটাবেড়িয়া সংলগ্ন বহু এলাকা। ব্লক তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকার নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র নাথ মাইতির মদতে গত দু’দিন ধরে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা বোমা বন্দুক নিয়ে তাদের কর্মীদের আক্রমণ করছে। জানা গিয়েছে, ৯০-৯৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট, বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় ২০-২৫ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক তৃণমূল কর্মী কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বরোজ এলাকায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা বলেন, “কারা বোমা-বন্দুক আর বহিরাগতদের নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তা এলাকায় গেলেই যে কেউ বুঝতে পারবে। এত বোমা, এত বন্দুক বিজেপি এলাকায় মজুত করেছে তা কেউ বুঝতে পারেনি! আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুপতিনগর থানাতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছি।”