সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ কেন প্রকাশ্যে এল না? তাতে কি কোনওভাবে কারচুপি করা হয়েছে? সোমবার রাষ্ট্রপতির কাছে এ নিয়ে দরবার করতে গিয়ে এসব প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এদিন তাঁর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাইসিনায় গিয়ে তুষার মেহতার অপসারণের দাবি করেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখেন্দুশেখর রায়। তাতেই এসব প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে দেখা করতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়ি গিয়েছিলেন। আর এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তুষার মেহতা-শুভেন্দুর ছবি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন শাসকদলের নেতারা। প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় সিবিআইয়ের হয়ে লড়ছেন তুষার মেহতা। আবার স্টিং অপারেশেনের ফুটেজে শুভেন্দুকেও দেখা গিয়েছে। তাহলে কেন ‘অভিযুক্ত’ একজন সলিসিটর জেনারেলের বাড়িতে গেলেন? এই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। যদিও শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উড়িয়ে তুষার মেহতার দাবি, ‘উনি এসেছিলেন আমাকে না জানিয়ে। দেখা করতে পারিনি। তার জন্য দুঃখিত’।
কিন্তু তুষার মেহতার এই ব্যাখ্যা মোটেই পছন্দ হয়নি শাসক নেতৃত্বের। তাঁরা ওই দিন সলিসিটর জেনারেলের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছেন। তাঁকে পদ থেকে সরানোর দাবিও উঠেছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর এবার তৃণমূল প্রতিনিধিদল গেল রাষ্ট্রপতির দরবারে। আর তারপর বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে দলের বর্ষীয়ান নেতা সুখেন্দুশেখর রায় স্পষ্টই বললেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সলিসিটর জেনারেলের ব্যাখ্যা আমাদের সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি। ওঁর ভূমিকা নিন্দনীয়। এই অবস্থায় তাঁর নিজেরই উচিত, পদ ছেড়ে দেওয়া। যদি তা না করেন, তাহলে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়েছি’।