বিরোধী দলের নেতানেত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী মত পোষণকারী— কাউকে বিঁধতে গিয়ে বরাবরই কটুক্তির আশ্রয় নেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। অশালীন-কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। এবার যেমন বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে হরিয়ানায় বিজেপির দলীয় মুখপাত্র তথা করনি সেনার সভাপতি সুরজ পাল আমু। গুরুগ্রামের পাতৌদিতে গিয়ে এক মহাপঞ্চায়েতে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন। এদিন তিনি নিদান দেন, যদি ইতিহাস না হতে চান আর ইতিহাস গড়তে চান তাহলে তৈমুর, ঔরঙ্গজেব, বাবর এবং হুমায়ুনদের জন্ম যাতে না হয়। এই মন্তব্য যে সাইফ আলি খানের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিয়ে করা, তা বলাই বাহুল্য। কারণ, পাতৌদির নবাব পরিবারের ছেলে সাইফ তাঁর ছেলের নাম তৈমুর রেখেছিলেন। যা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল।
এদিন মহাপঞ্চায়েতে বিজেপি নেতা বলেন, ‘যদি ভারত আমাদের মা হয়ে থাকে তাহলে আমরা পাকিস্তানের বাবা। আর এই পাকিস্তানিদের আমরা এখানে ঘর ভাড়া দেব না। এদের এই দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। এই প্রস্তাব পাশ করা।’ এরপর সুরজ পাল আমু আরও বলেন, ‘১৯৪৭ সালে যখন দেশ ভাগ হয়েছিল তখন ১০ লাখ লোকের মৃতদেহ দেখেছিলাম। তবে আসলে কতজন মারা যায়, তার কোনও সঠিক হিসাব আজও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর আমরা আমাদের দোকান, বাড়ি এদেরকে ভাড়া দিচ্ছি। পাতৌদিতে নাকি এদের পার্ক তৈরি হচ্ছে। এই পার্ক ভেঙে ফেলতে হবে। কোন যুবকরা এই পার্ক ভাঙতে প্রস্তুত?’
এর আগে পদ্মাবত সিনেমা মুক্তি পাওয়ার সময়ে সুরজ পাল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং সঞ্জয়লিলা বানসালির কাটা মুণ্ডু এনে দিলে দশ কোটি টাকা দেবেন বলে। আর এদিন উস্কানি দিতে আমু বলেন, ‘উজ্জৈনে সুরজ সিং বলে একজনকে আমি জানি। তিনি নিজের গ্রামে মসজিদ তৈরি করতে দেননি। সেখানে বারবার মসজিদ তৈরির চেষ্টা হয়। বারবার তা বন্ধ করা হয়।’ এদিন সাইফ আলি খানকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরা পাতৌদিতে লাভ জিহাদ এনেছে। যারা তৈমুরকে জন্ম দেয় তাঁরা পাতৌদি থেকে। আমি তৈমুরের মাকে অনুরোধ করব যে যথেষ্ঠ হয়েছে। শর্মিলা ঠাকুরের সময় থেকে লাভ জিহাদ হচ্ছে পাতৌদিতে। এটি থামাতে পারে একমাত্র পাতৌদির মানুষ।’