বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনই রাজ্যপালের বক্তৃতার সময়ে বিজেপি বিধায়কদের হই-হট্টগোলের সাক্ষী থেকেছিল বিধানসভা। তার আগে বিজেপির রাজভবনের কর্মসূচীর দিন শুভেন্দু অধিকারীর হুঙ্কার ছিল, ‘ভারতীয় জনতা পার্টিকে গত ১০ বছরের বিরোধী দলগুলির মতো ভাববেন না।’ তাই অদূর ভবিষ্যতে বিজেপির অশান্তি পাকানোর চেষ্টা বানচাল করে দিতে সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের ক্লাস নিয়ে বর্ষীয়ানরা বুঝিয়ে দিলেন, কী করতে হবে আর কী হবে না। সেইসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীরা পইপই করে এ-ও বুঝিয়েছেন, এবার বিজেপি অশান্তি পাকাবে। তার জন্য যেন বিধায়করা প্রস্তুত থাকেন।
সূত্রের খবর, পরিষদীয় দলের ক্লাসে বিধায়কদের বলা হয়েছে, সিপিএম, কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে রীতিনীতি অনেকটা মানত। বিজেপি সেসবের ধার ধারবে না। এদিন তাই তৃণমূল বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিয়মিত বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হবে। কামাই করা যাবে না। কেন না এবার দুই শতাধিক তৃণমূল বিধায়কের অনেকেই প্রথম জিতেছেন। তার মধ্যে অনেকে আবার রাজনীতির লোকই নন। রুপোলি পর্দা, ক্রীড়া জগতের অনেকে রয়েছেন। পরিষদীয় দলের বৈঠকে এ-ও বলা হয়েছে, বিরোধী বেঞ্চ থেকে কিছু বললেই উত্তেজিত হবেন না। যতক্ষণ না দল নির্দেশ দিচ্ছে ততক্ষণ কোনও প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রয়োজন নেই হাউসে।