সমস্ত জল্পনা-কল্পনাকে মিথ্যে করে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে বিপুল মার্জিনে পরাস্ত করে বড় শক্তি নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন নির্বাচনের মতো এবার বিধানসভার অধিবেশনেও হোক ধারাবাহিক শক্তি প্রদর্শন। আর তার জন্য এক গুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হল দলের বিধায়কদের। তাতে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিধায়কদের নিয়মিত বিধানসভার লাইব্রেরি ব্যবহার করতেও বলা হয়েছে।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন ছিল সোমবার। শুক্রবার প্রথম দিন বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে হইহট্টোগোল হয় বিধানসভায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সংক্ষিপ্ত ভাষণের পরে বিধানসভা ছেড়ে চলে যান। এর পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিধানসভার নতুন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার দ্বিতীয় দিনে শোক প্রস্তাবের পরেই অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।
অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পরেই বিধানসভার নৌসার আলি কক্ষে তৃণমূল পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। সেখানে দলের বিধায়কদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। সেই অভ্যন্তরীণ বৈঠকেই দলীয় বিধায়কদের কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
নির্দেশিকা:
১) দলীয় বিধায়কদের নিয়মিত অধিবেশনে যোগ দিতে হবে। পুরো সময় থাকতেও হবে। এসেই চলে যাওয়া যাবে না।
২) অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্নোত্তর পর্বে নিয়মিত বিধায়কদের অংশ নিতে হবে। এর জন্য সকলকে প্রশ্নোত্তরের নিয়ম জেনে নিতে হবে। অন্যান্য তথ্য জানার জন্য বিধানসভার গ্রন্থাগার নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
৩) কথায় কথায় সংবাদমাধ্যমের সামনে আর মুখ খুলতে পারবেন না বিধায়করা। দল যাঁদের উপরে দায়িত্ব দিয়েছে তাঁরাই শুধু মিডিয়ায় কথা বলবেন।
৪) একক ভাবে বিরোধীদের আক্রমণ করা যাবে না। দল যে ভাবে নির্দেশ দেবে সেটাই মেনে চলতে হবে। বিরোধীদের আক্রমণ করার সময় বিধায়করা দলীয় নির্দেশ মানার ব্যাপারে যেন সতর্ক থাকেন।
৫) বিরোধীরা বিধানসভার অধিবেশন বানচাল করতে চাইলে সংযত থাকতে হবে শাসকদলের বিধায়কদের। এ ক্ষেত্রেও দলের নির্দেশ মেনেই চলতে হবে সকলকে। বিরোধীদের ফাঁদে পা দিয়ে কোনোভাবেই বিধানসভার নিয়ম ভঙ্গ করা যাবে না।