কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। মূল অভিযুক্ত প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে মন্ত্রী-বিধায়কদের ছবিকে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানাচ্ছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিড়ম্বনা এড়াতে বিধায়কদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল তৃণমূল। সোমবারের পরিষদীয় বৈঠকে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, কোনও সামাজিক কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে বিধায়কদের সেই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। সেখানে কারা আমন্ত্রিত জেনে নিতে হবে আগেভাগেই।
একুশের বিধানসভা ভোটে প্রথমবারের জন্য অনেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তাই বিধানসভার রীতিনীতি অনেকেরই অজানা। পরিষদীয় দলের বৈঠকে সেই রীতিনীতি নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল তৃণমূল নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায়, সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলা নিয়ে সাবধান করা হয়েছে বিধায়কদের। পাশাপাশি, বিধানসভায় বিজেপির আচরণ নিয়ে বিধায়কদের সচেতন করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিনের বৈঠকে পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, এবারের অধিবেশন খুব জটিল হবে কারণ বিজেপি আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে। আগে বাম-কংগ্রেস ওয়াক আউট করলেও আলোচনায় অংশ নিত। কিন্তু বিজেপি ধ্বংসাত্মক আচরণ করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী। তার মধ্যেই বিধানসভার কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন পার্থবাবু।
পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমে ভেবেচিন্তে মুখ খোলার পরামর্শও দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। তৃণমূল বিধায়কদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘পরিষদীয় রীতিনীতি শিখতে হবে। ব্যবহার করতে হবে লাইব্রেরি। নিয়মিত অধিবেশনে থাকতে হবে।‘ একইসঙ্গে সকল বিধায়ককে আগামী দু’দিন সম্পূর্ণ সময় অধিবেশনে থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন পার্থবাবু। কারণ, কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রথম দফায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা আছে। দ্বিতীয় দফায় বিধান পরিষদ নিয়ে আলোচনা। আবার পরদিন অর্থাৎ বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ। দু’দিনই হাজির থাকতে হবে তৃণমূল বিধায়কদের স্পষ্ট করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।