২০২০ সালের শুরু থেকেই মারণ করোনা ভাইরাসে বিধ্বস্ত ভারত। মাঝে এর প্রকোপ কমলেও চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভীষণভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিল দেশ। একে এই অতিমারীতেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ, তার মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধিও। জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধিতে দিশেহারা আমজনতা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি টপকে গিয়েছে। কলকাতাতেও দাম একশো ছুঁইছুঁই। তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে খুচরো বাজারেও। বিভিন্ন পণ্য কিনতে গিয়ে হাতে ছেঁকা লাগছে গৃহস্থের।
আর এই ইস্যুকে অস্ত্র বানিয়েই এবার বিজেপিকে ঘায়েল করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হল বাংলার শাসকদল তৃণমূল। টুইটারে ভাইরাল হল #ModiBabuPetrolBekabu হ্যাশট্যাগ। মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “জ্বালানির দামের ঐতিহাসিক বৃদ্ধির সাথে সাথে সাধারণ মানুষের অন্যান্য দুর্দশা বাড়াতে বিজেপি সরকার বর্তমানে কঠোর পরিশ্রম করছে। মানুষের দাবি উপেক্ষা করা হচ্ছে।” অন্যদিকে, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, “প্রতিবারই নরেন্দ্র মোদী নাটকের মাধ্যমে দেশবাসীকে ঝাঁকিয়ে দিয়ে যান। পেট্রোলের দাম যখন আকাশছোঁয়া তখন তিনি কোথায় আত্মগোপন করেছেন? নতুন কোন বক্তৃতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন?”
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম লেখেন, “আমার মনে আছে ২০২০ তে পেট্রোলের দাম পর পর ১৭ দিন বেড়েছিল। এক বছরের মধ্যে তা দেশের বিভিন্ন শহরে ১০০ ছাড়িয়েছে। নরেন্দ্র মোদী দয়া করে আপনার সু-উচ্চ ঘোড়া থেকে নেমে মানুষের দুর্দশার দিকে মন দিন।” এছাড়াও, দলের শ্রমিক ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “নরেন্দ্র মোদী জনতাকে যেন তেন প্রকারেন লুঠ করতে চাণ। পেট্রোলের দাম ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতারা সে বিষয়ে চুপ। এমনকি কুমিরের কান্নাও শোনা যাচ্ছে না।”