রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা এখনও অব্যাহত। ভোটে হেরে গেলেও বিজেপির দৌরাত্ম্য কমেনি। গতকাল ফের তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালালো গেরুয়া শিবির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভার মোড় এলাকা। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এলাকায় চলে গুলিও। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিধায়ক মদন মিত্র। বিজেপি ভোটে হারার পর থেকে এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাঁর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল? মদন মিত্রের দাবি, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় কামারহাটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভার মোড়ে তৃণমূলের কার্যালয়ে বসেছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। সেখানে আচমকাই বেশ কয়েকজন অপরিচিত যুবক বাইকে চড়ে পৌঁছয়। লাথি মেরে তৃণমূল কার্যালয়ের দরজা খোলে তারা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মানস বর্ধন এবং শুভ্র নামে দুই সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে টেনে হিঁচড়ে বিভার মোড়ে নিয়ে যায়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। চলে গুলিও। প্রচণ্ড শব্দে এলাকার স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাড়ি ছেড়ে একের পর এক লোক বেরোতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই দুই তৃণমূল কর্মী। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার খবর পেতেই তড়িঘড়ি বিভার মোড়ে পৌঁছন বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর অভিযোগ, এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপি এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁর। বিধায়কের আরও অভিযোগ, কামারহাটির পাশাপাশি বেলঘরিয়াতেও রাত আটটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে। কামারহাটিকে কোনওমতেই ভাটপাড়া হতে দেবেন না বলেও জানান তিনি। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রুখতে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মদন মিত্র।
এই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে কোভিড বিধি মেনে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। এছাড়াও এলাকার প্রত্যেক জনগণকে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে এফআইআর করার কথাও বলেন তিনি।