ফরাসি সরকার রাফাল চুক্তিতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আর তারপরেই এবার রাফাল চুক্তিতে ‘দুর্নীতি’ হয়েছে কি না তা জানতে তদন্তের জোরাল দাবি তুলল কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, খোদ প্রধানমন্ত্রীর উচিত এগিয়ে এসে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার। তদন্ত করুক যৌথ সংসদীয় কমিটি।
প্রসঙ্গত, রাফাল চুক্তি নিয়ে ফ্রান্স বিচারবিভাগী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তারপরই পুরোদমে কেন্দ্রের কাছে জেপিসি তদন্তের দাবি জানাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সুরজওয়ালা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘রাফাল দুর্নীতি এ বার পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। ফরাসি সরকার তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর এ দিন কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর দাবি সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’ সুরজওয়ালার দাবি, যে হেতু এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িয়ে আছে, তাই এই তদন্ত নিখুঁতভাবে একমাত্র যুগ্ম সংসদীয় কমিটির পক্ষেই করা সম্ভব।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকদিন আগে। একটি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, চুক্তিতে মধ্যস্থকারী একটি সংস্থাকে বড় অঙ্কের টাকা ‘উপহার’ দিয়েছে রাফাল নির্মাণ সংস্থা দাসো। যদিও দাসো দাবি করেছিল, ১.১ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি টাকা) ভারতীয় একটি সংস্থাকে তারা দিয়েছে রাফালের রেপ্লিকা নির্মাণের জন্য। এই বিতর্ক প্রথম উস্কে দিয়েছিল ফরাসি দুর্নীতি দমন শাখা। দাসোর অডিটে এই বেনিয়ম ধরা পড়েছিল বলে দাবি করেছিল ফরাসি সংবাদ মাধ্যম।
তাদের দাবি অনুযায়ী, দাসোর কাছ থেকে ‘উপহার’ হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছিল অগস্টাওয়েস্টল্যান্ড চপার স্ক্যামের সঙ্গে যুক্ত সুশেন গুপ্তার সংস্থা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরেজওয়ালা তখন দাবি করেছিলেন, ‘ভারতীয় সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ স্বাধীন তদন্ত হওয়া কি উচিত নয়? যদি কোনও ঘুষ দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেটা কত তা কি জানা প্রয়োজন নয়?’