অব্যাহত বিজেপির ভাঙন। সুন্দরবনের স্বরূপনগর, মিনাখার পর, এবার হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভায় তৃণমূলে যোগদান করল প্রায় ৩০০ বিজেপি নেতা-কর্মী। তাদের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী রাজ্য স্তরের নেতাদের সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করতে পারেনি। কেউ একবারও খোঁজ খবর নেয়নি, তাই তারা বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল দলে যোগদান করেছে। বসিরহাট মহাকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থক প্রায় তিন শতাধিক তৃণমূলে যোগদান করলেন। শনিবার সকালবেলা তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কালিকাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল মন্ডল, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ তথা শিক্ষক নেতা তুষার মন্ডল।
উল্লেখ্য, বিজেপির নেতা মনোরঞ্জন মন্ডল রাজু জোয়াদ্দার এদিন মিছিল করে এসে কালীতলা প্রাইমারি স্কুলের খোলা মঞ্চে তৃণমূলে পতাকা হাতে নিয়ে তৃণমূল দলে যোগদান করেন। তারা বলেন, যেভাবে রাজ্য সরকার করোনা মহামারী ও সুন্দরবনের যশ বিপর্যয় মোকাবিলা করেছে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, দুয়ারের রেশনের মতো প্রকল্প মানুষের সুন্দর পরিসেবা দিচ্ছে, তার পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিন বিনামূল্যের রাজ্যের সব মানুষকে দায়বদ্ধ ভাবে দিচ্ছে, সরকারের পাশে দাঁড়ানোই একমাত্র তাদের কাজ। পাশাপাশি পুরোনো দলের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, বিজেপিতে থেকে তারা কাজ করতে পারছেননা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর জেলার ও রাজ্যের নেতারা তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ রাখছেন না। বেশিরভাগ সময় তাদের মোবাইল ব্যস্ত,অথবা ফোনের সুইচ বন্ধ। তাই তারা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। আজ এই যোগদানের মধ্য দিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী হল বলেই মনে করছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক মহল।