মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পুনরায় কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর। ফের আজ সকালে পুলওয়ামা জেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্ঘর্ষে শহীদ হয়েছেন এক জওয়ান। সেনা সূত্রে খবর, পুলওয়ামার রাজপোরা এলাকায় জঙ্গীদের গোপন ঘাঁটির সন্ধান দেন গোয়েন্দারা। সেই খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানে নামে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথ বাহিনী। রাতের অন্ধকারে ঘিরে ফেলা হয় সন্ত্রাসবাদীদের ডেরা। জওয়ানদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জেহাদিরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা টানটান লড়াইয়ের পর গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হন ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ান কাশী।
তাঁকে দ্রুত সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যান তিনি। এদিকে, এখনও জঙ্গীদের সন্ধানে অভিযান চলছে। ওই ঘাঁটিতে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, বিগত ছ’মাসে কাশ্মীরে অন্তত ৬০জন জঙ্গীকে খতম করা হয়েছে। বুধবার কুলগাম জেলায় এক সঙ্ঘর্ষে সেনার হাতে নিহত হয় তিন সন্ত্রাসবাদী। তাদের মধ্যে একজন হিজবুল মুজাহিদিন কুলগাম জেলার কমান্ডার শেহরাজ মৌলবি এবং অন্যজন মুদাসির রশিদ। রশিদকেও দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল বাহিনী।
ড্রোন আতঙ্কের মাঝেই দুই হিজবুল জঙ্গীকে নিকেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে খবর। তার আগে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার নাদিম আবরার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর লাগাতার অভিযানে উপত্যকায় বিপাকে পড়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনগুলি পালটা হামলা চালিয়ে এবার সদস্যদের মনোবল কিছুটা চাঙ্গা করে তুলতে চাইছে।