টাকা ছাড়া হবে না কোনও কাজ, মন্ত্রীদের কথাও শোনেন না আধিকারিকেরা, এমনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বিহারে নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে। তবে কোনও বিরোধী দলের নেতা নয়, বরং মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক মন্ত্রীই এই অভিযোগ করলেন।
বিহারের সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী মদন সাহানি জানান, তিনি মন্ত্রীত্ব ত্য়াগ করতে চান, কারণ তাঁর সচিবই কোনও নির্দেশ অনুসরণ করেন না। চলতি সপ্তাহের শনিবারই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানান। ক্ষোভের কারণ হিসাবে তিনি জানান, যেভাবে আধিকারিকরা বদলির বা পোস্টিং-র নির্দেশ আটকে রাখছেন, তা অত্যন্ত অপমানজনক।
তিনি বলেন, ‘ যদি আধিকারিকদেরই অধিকার হয় এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়ার, তবে ওই গদিতে বসে থেকে লাভ কী? আমি কেবল কিছু সুবিধা ভোগ করার জন্য মন্ত্রীর গদিতে বসে থাকতে চাই না’। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন কিনা, জিজ্ঞাসা করা হবে তিনি বলেন, ‘আমি কেন বলব? উনি তো ভাববেন যে আমি ব্ল্যাকমেইল করছি। ইস্তফাপত্র তৈরি করছি। এই পদ থেকে ইস্তফা দেব’।
সূত্র অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মদন সাহানি মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করার পরই যা কিছু নির্দেশ দিয়েছেন, তার অধিকাংশই পালন করেননি আধিকারিকেরা। তাঁর অভিযোগ, একাধিক দফতরে বদলির নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি। এনডিএ জোটের বৈঠকেও এই সমস্যাটি তুলে ধরলেও তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝিও তাঁর এই দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, দুই বিজেপি বিধায়ক জ্ঞানেন্দ্র সিং ও হরিভূষণ ঠাকুরও অভিযোগ করেছেন যে, সরকারি আধিকারিকদের বদলির জন্য মন্ত্রীরা প্রক্যাশ্যে টাকা নেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার হরিভূষণ ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং গোটা বিষয়টি জানতে চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।