‘শুভেন্দু অধিকারীর এসেছিলেন। কিন্তু কোনও বৈঠক হয়নি। চা খেয়ে চলে যান’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তৃণমূল চিঠি দেওয়ার পরই দিল্লির বৈঠকের বিষয়ে এভাবেই সাফাই দিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অন্যদিকে, একইভাবে সাক্ষাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিরোধী দলনেতা তথা শুভেন্দু অধিকারীও।
বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লীতে একের পর এক সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু। প্রথম দেখাটা হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এরপর দিল্লির ১০ আকবর রোডে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতেও যান শুভেন্দু। শেষে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে। কিন্তু তুষার মেহতার সঙ্গে দেখা করা নিয়েই বাঁধে গণ্ডগোল। কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি চলছে, সেই সময় ওই মামলারই অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু কেন সিবিআই-এর আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করলেন? এই নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপি কৌশলে শুভেন্দুকে বাঁচাতে চাইছে। শুধু তাই নয়, শুক্রবার খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে অপসারণের দাবি তুলেছে তৃণমূল।
এরপরই বিবৃতি দেন তুষার মেহতা। তিনি জানিয়েছেন, ‘আগেভাগে না জানিয়েই গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর তিনটে নাগাদ আমার বাসভবন-অফিসে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেহেতু আমার চেম্বারে আগে থেকেই একটি বৈঠক করছিলাম, আমার কর্মীরা অফিসের ওয়েটিং রুমে তাঁকে (শুভেন্দু) অপেক্ষা করতে বলেন। সঙ্গে এককাপ চা দেন। বৈঠকের পর আমার ব্যক্তিগত সচিব তাঁর (শুভেন্দু) আসার কথা জানান। আমি যে দেখা করতে পারব না, তা তাঁকে জানিয়ে দিতে বলি। সেইসঙ্গে অপেক্ষা করার জন্য আমার তরফে ক্ষমাও চাইতে বলি। সাক্ষাতের জন্য জোরাজুরি না করেই শুভেন্দু চলে যান। তাই আমার সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকের প্রশ্নই উঠছে না।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তৃণমূলের দাবি, নারদ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। নারদ টেপে শুভেন্দুকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, সারদা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এরকম এক মামলায় আইনজীবী হয়েও তুষার মেহতা কীভাবে মামলায় অভিযুক্তের সঙ্গে সাক্ষাত করেন? ওই সাক্ষাতে তুষার মেহতার বিশ্বাসযোগ্যতার উপরেও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। তাই সেই সন্দেহ দূর করার জন্য তুষার মেহতাকে অপসারণ করা হোক।