যশে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য সরকার। এতে মোট আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৭৪ টি। এরপরই প্রতিটি আবেদন যাচাইয়ের কাজ শুরু করে নবান্ন। তারপরই দেখা যায়, প্রায় ২ লক্ষ আবেদনপত্র সেখানে ভুয়ো ছিল। তাই সেগুলো বাতিল হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এদিকে, ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্য পেতে শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা।
উম্পুনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যশের পর ত্রাণ বণ্টনে আগেরবারের চেয়ে সতর্ক মমতা সরকার। তৎক্ষণাৎ ঘোষণা হয়েছিল, ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচির। যাতে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলার সুযোগ না পায় তাই কেবলমাত্র সরকারি কর্মীদের দিয়ে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি প্রায় শেষের পথে। ত্রাণ পেতে আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। বলা হয়েছিল, ১ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত নিজেরাই আবেদন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তারপর হবে সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কাজ। এই কাজটি প্রায় শেষের পথে। সেই সূত্রেই জানা গিয়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ আবেদনপত্র ভুয়ো বলে বাতিল হয়ে গেছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, হাতেকলমে খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতির পরিমাণ অনেক ক্ষেত্রেই মনগড়া। ফলে আবেদনপত্র নিয়ে সরকারি আধিকারিকরা আবেদনকারীকে সরাসরি প্রশ্ন করতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক গলদ। গবাদি পশুর মৃত্যুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদের। কারণ সেক্ষেত্রে গবাদি পশু আদৌ ছিল কিনা তার কোন প্রমাণ দিতে পারছেন না আবেদনকারীরা। তাহলে কোন ভিত্তিতে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে?
নবান্ন সূত্রে খবর, যাচাইয়ের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। ঘর কিংবা চাষের জমির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ দ্রুত হলেও গবাদি পশু নিয়ে সমস্যাও দ্রুত কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচিতে ঘরবাড়ির ক্ষতির জন্য প্রায় ৫ হাজার যোগ্য আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখনও যাচাইয়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজও।