বিধানসভা চত্বরে প্রবেশের অনুমতি নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। তাই শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিধানসভার বাইরে করা হল তাঁদের জন্য অস্থায়ী ছাউনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বসার জন্যে নীল-সাদা ও ক্রীম-সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা এই ছাউনি তৈরি হয়েছে বিধানসভার বাইরে৷ চলতি বিধানসভা অধিবেশনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিধানসভা ভবনে বা চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধানসভা সূত্রে। ফলে তাঁদেরই বসার জন্যে ছাউনির বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
বিধানসভা সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিধায়কদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবেই বিধানসভায় প্রবেশের ব্যাপারেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমনকি বিধায়কদের বলা হয়েছে তাঁরা যেন ‘ভিজিটরদের’ নিয়ে অধিবেশনের সময় না আসেন।
তবে বিধানসভা সূত্রে খবর, সংসদেও বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে প্রবেশের অনুমতি নেই। ভিন রাজ্যের পুলিশকেও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। সেই নিয়ম সামনে রেখেই বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশে আরোপিত হয়েছে বিধি নিষেধ।
যদিও অন্য একটি সূত্রের মতে, নির্বাচন পর্ব মেটার পর পরই বিধানসভায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে তরজায় জড়ান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ তারপরেই বিধানসভা সূত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিধায়কদের সঙ্গে রয়েছে রাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষী। তবে বিজেপি বিধায়কদের একাংশের সাথেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ইতিমধ্যেই বিধানসভার সর্বদলীয় বৈঠক ও বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিরাপত্তার জন্যে প্রবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়কদের তরফে সেই অনুমতি চাওয়া হয়েছিল স্পিকারের কাছে। কিন্তু সেই অনুরোধ গৃহীত হয়নি। ফলে বিধানসভায় এবারও প্রবেশ করতে পারবেন না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। অধিবেশনের সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে বসে আছেন ওই ছাউনিতেই। অনেকেই আবার নিজেদের গাড়িতে অপেক্ষা করছেন। যে বা যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পান তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তিনি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। নিরাপত্তা পান মনোজ টিগগা, পবন সিং-সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক।