হাসপাতালের বেডে বসেই ফেসবুক লাইভ করে চিকিৎসক দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। মুখে সাদা খোঁচা দাড়ি। অসুস্থ শরীর। নাকে গোঁজা অক্সিজেনের নল। এই অবস্থায় সেই সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার ভূয়সী প্রশংসা করলেন। বলে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানাতেই বাংলার চিকিৎসা-পরিকাঠামোয় আমূল পরিবর্তন এসেছে।
বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভের শুরুতেই এসএসকেএম হাসপাতালের ডা. সৌমিত্র ঘোষকে ধন্যবাদ জানান কবীর সুমন। এরপরই রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোর চূড়ান্ত প্রশংসা শোনা যায় প্রবীণ শিল্পীর গলায়। বলে দেন, সাংবাদিকতার সূত্রে তিনি হল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মতো দেশগুলিতে গিয়েছেন। সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতালও ঘুরেছেন। কিন্তু সেসব হাসপাতাল পশ্চিমবঙ্গের মতো উন্নত নয়। তাঁর কথায়, “৩৪ বছরের বাম আমলের হাসপাতালের পরিষেবা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। কিন্তু সেই পরিষেবা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আসলে আগে পেশাদারিত্বই বেশি প্রাধান্য পেত। কিন্তু কলকাতায় এখন একটা আত্মীয়তা তৈরি হয়েছে। যে ডাক্তার-নার্সরা আমাকে দেখছেন, তাঁরা আত্মীয়ের মতো ব্যবহার করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়েই এটা সম্ভব হয়েছে।”
উল্লেখ্য সুমনের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। সংগীতশিল্পীরা চিকিৎসা পরিষেবা পান, কিন্তু সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হন কেন? এর উত্তর দিতেই আজ শ্বাসকষ্ট নিয়েও ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। বলে দেন, ভিআইপি হিসেবে তিনি এত ভাল বেড কিংবা চিকিৎসা পাচ্ছেন, তেমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। বলেন, “তিনি একজন সাধারণ মানুষই। আসলে পুরোটাই সম্ভব হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দৌলতে। তিনি প্রত্যেককে সম্মান দেন বলেই সম্মান ফিরে পান।”
এদিন গলায় অসহ্য ব্যথা অনুভব করছিলেন কবীর সুমন। ঢোক পর্যন্ত গিলতে পারছিলেন না শিল্পী। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। রবিবার রাতে গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে দ্রুত ভরতি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেদিন রাতেই সুমনের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল। ফল নেগেটিভ এসেছিল। আরটি-পিসিআর টেস্টেও জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত নন। এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর ঘরে ভর্তি আছেন সুমন। এই মুহূর্তে তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা ৯০। চেস্ট ইনফেকশন অনেকটাই কম। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হবে সুমনকে।