আইপএফটি’র সিমনা’র বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা বিধায়ক পদ থেকে সর দাঁড়িয়েছেন। পদত্যাগের চিঠি দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষকে। আইপিএফটি প্রধান এন সি দেববর্মাকে চিঠির প্রতিলিপি দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীকেও। এই পর্যন্ত খবর সকালেই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন কাহানি মে ট্যুইস্ট। শোনা যাচ্ছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্তফাপত্র জমা না দেওয়ায় তার ইস্তফা এখনও গৃহীতই হয়নি। কেন এই ধাক্কা দিলেন বৃষকেতু, তাই নিয়ে উঠে আসছে একাধিক জল্পনা।
পদত্যাগ পত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও, তিপ্রা মথায় যোগ দেবার জন্যই বৃষকেতু বিধায়ক পদ ছাড়ছেন বলে ত্রিপুরায় চাউর। তিপ্রা মথায় তাঁকে সহ-সভাপতি পদ দেয়া হতে পারে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সিমনা থেকেই বিধানসভায় প্রার্থী করা হবে বলে খবর। বৃষকেতুর দেখাদেখি গন্ডছড়ার বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরাও একই পথেই হাঁটছেন বলে ইঙ্গিত। যদিও তিনি এখনও ইস্তফা দেননি। আইপিএফটি-র মুখপাত্র মঙ্গল দেবশর্মা পরিষ্কার জানালেন, তাঁরা এমন কোনও তথ্য জানেন না।
আইপিএফটি ছেড়ে তিপ্রা মথায় বৃষকেতু দেববর্মা বিজেপি’র সায় নিয়েই যাচ্ছেন বলে একটি সূত্র দাবি করছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গেও নাকি এই ব্যাপারে সপ্তাহখানেক আগে তাঁর কথা হয়েছে বলে মহাকরণের আধিকারিক স্তরের একাধিক সূত্র দাবি করেছে। সেখানে বৃষকেতু দেববর্মা মন্ত্রীত্বের দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। তখনই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিশদে কথা হয়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন বৃষকেতুরা ধরে নিচ্ছেন, পরবর্তী বিধানসভা ভোটে বা ভোট পরবর্তীতে বিজেপি-মথা বোঝাপড়া হচ্ছেই। আইপিএফটিতে থেকে মন্ত্রীত্বের শিঁকে ছিড়বে না আর। আর এই মন্ত্রিত্বের হাতছানিতেই বিধায়কপদ ছেড়ে দিয়ে হোমওয়ার্ক শুরু হচ্ছে।
এখন তিপ্রা মথার এমডিসি যারা আছেন, তাদের অনেকেই বিধায়ক পদে দাঁড়াবেন, তাদের জায়গায় কারা এডিসি’র উপনির্বাচনে দাঁড়াবেন, সেসবও মুখে-মুখে হিসাব-নিকেশ হয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।