রাজ্যে গত এপ্রিলের পর করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারের নীচে নামল। একই সঙ্গে জুন মাসের পর ২১ হাজারের নীচে নেমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ-সহ দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। যদিও ওই সময়ের মধ্যে কলকাতায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা বেড়েছে। পাশাপাশি, মার্চের পর এই প্রথম সংক্রমণের দৈনিক হার ৩ শতাংশের নীচে নামল। ফিরছে স্বস্তি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৮ জন। গত ২রা এপ্রিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৩৩। তার পর থেকে ক্রমশ সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় যথাক্রমে ১৫৪ ও ১৩৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর (১৪৭), দার্জিলিং (১৫০) এবং হাওড়া (১০৩) জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৮৩ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ছাড়া, এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ৫৮৫। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ১০, কলকাতায় ৭, নদিয়ায় ৪, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলিতে ২ জন করে কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করে সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭০৮ জন মারা গিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্র খবর।
পাশাপাশি, সংক্রমণ ক্রমশ কমতে থাকায় এর দৈনিক হারে তার প্রভাব প়ড়েছে। এই মুহূর্তে তা দাঁড়িয়েছে ২.৯৬ শতাংশে। এ ছাড়া, সংক্রমণের মোট হার কমে হয়েছে ১০.৫৫ শতাংশ। রাজ্যে দৈনিক টিকাকরণ ফের আড়াই লক্ষের বেশি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে মোট ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৪৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার সকালে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাশাপাশি, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, দৈনিক কোভিড টেস্ট হয়েছে ৫৩ হাজার ৯৭৫টি।