গতকাল উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ডেই পা পিছলে কোর্টে পড়ে গেলেন সেরেনা উইলিয়ামস। এরপর পা-এ চোট পেয়ে আর কোর্টে খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। যার ফলে টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গেলেন সেরেনা। শেষ অবধি কাঁদতে কাঁদতে কোর্ট ছাড়েন তিনি। এবারেও সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডের কাছে পৌঁছাতে পারলেন না এই টেনিস তারকা।
বেলারুশের আলিয়াকসান্দ্রা সাসনোভিচের কাছে হারেননি ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন। প্রথম সেটে ৩-১ গেমে এগিয়ে যাওয়ার পর সেরেনা কোর্টের মধ্যেই পিছলে পড়ে যান, এরফলে তিনি আহত হন। বাঁ পায়ের অ্যাঙ্কেলে চোট পান সেরেনা। এরপর সাসনোভিচ ৩-৩ করার পর আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি সেরেনা। কাঁদতে কাঁদতেই অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্ট ছাড়েন ৩৯ বছর বয়সী সেরেনা।
উইম্বলডনে এদিন পা পিছলে কপাল পুড়েছে আদ্রিয়ান মানারিনোরও। নিজের ৩৩তম জন্মদিনে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মানারিনো পেয়েছিলেন টেনিস জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তারকা রজার ফেডেরারকে। বর্তমানে পুরুষ বিভাগের টেনিসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডটা যিনি রাফায়েল নাদালের সঙ্গে ভাগাভাগি করছেন। এই ফরাসি খেলোয়াড় নিজের জন্মদিনটাকে স্মরণীয় করার সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি উইম্বলডন জয়ী ফেডেরারের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা যে তৈরিও করতে পেরেছিলেন মানারিনো।
প্রথম সেট হারলেও পরের দুই সেট জিতে এগিয়ে গিয়ে গিয়েছিলেন মানারিনো। চতুর্থ সেটে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান ফেডেরার। আটবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন ৬-২ গেমে সেটটা জিতে সমতা ফেরান। দুর্ঘটনা ঘটল ওই সেট চলার সময়েই। পা পিছলে কোর্টে পড়ে যান মানারিনো। হাঁটুতে প্রচণ্ড আঘাত পান ফেডেরারের বিপক্ষে কখনও না জেতা এই ফরাসি খেলোয়াড়। কোনও রকমে চতুর্থ সেটটা শেষ করলেও পঞ্চম সেটটা আর শুরু করতে পারেননি মানারিনো। চোটের কাছে হার মেনে ম্যাচ ছাড়েন।