গত ২মে বাংলার বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই ভাঙন ধরা শুরু হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলিতে। প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে কর্মী-সমর্থক থেকে নেতানেত্রীরা জোড়াফুলে আসতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় সবথেকে বেশি অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। কারণ এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং এটা ঠেকানো না গেলে তাঁদের ধীরে ধীরে তৈরি করা সংগঠন একেবারে তলিয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল রাজ্য কমিটির বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি কর্মীদের ভোকাল টনিক দিয়ে বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর পর, অর্থাৎ ২০২৬-এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তাই এখন থেকে কাজ করে যেতে হবে। কিন্তু এই ভোকাল টনিকের পরও দেগঙ্গায় বিজেপি শিবিরে ভাঙন দেখা দিল। আবার উলুবেড়িয়াতেও পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সবমিলিয়ে বিশাল চাপে গেরুয়া শিবির।
দেগঙ্গায় সিপিআইএম, বিজেপি, কংগ্রেস, আইএসএফ ছেড়ে প্রায় ৫০০ কর্মী সর্মথকদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দেগঙ্গা ব্লকের চাঁপাতলা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন শাসকদলে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং উন্নয়ন দেখে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।” সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাধন ব্যানার্জী, মন্টু সর্দার-সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরাই বিরোধী দলগুলির কর্মী-সমর্থকদের তৃণমূলে যোগদান করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।