ফের বিপাকে গেরুয়াশিবির। আসানসোলে বিজেপির জেলা সম্পাদকের পদ ছেড়ে মদনমোহন চৌবে সদ্যই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অভিমানে জেলা সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুধা দেবী নামে এক নেত্রী। আসানসোলে দলের ‘সংকট ব্যবস্থাপনা’ বিভাগের প্রধান ছিলেন সুধা। সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করে দলীয় পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা লিখেছেন সুধা। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের পর বুধবার প্রথম বৈঠকে বসেছিল বিজেপির আসানসোল জেলা কমিটি। তাতে অন্যতম জেলা সম্পাদক হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সুধার। কিন্তু তিনি ছিলেন না। ঘটনাচক্রে ওই বৈঠকের আগেই সুধা ফেসবুকে পোস্ট করে জেলা সম্পাদক এবং সংকট ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফার কথা জানান। তবে দলের সাধারণ সদস্য হিসাবে কাজ করে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বিজেপির জেলা সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন মদনমোহন। তিনি সদলবলে যোগ দেন তৃণমূলে। তার কিছু দিনের মধ্যেই আরও এক জন জেলা সম্পাদক ইস্তফা দেওয়ায় আসানসোল বিজেপির অন্দরেই মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে সুধার প্রতিক্রিয়া, “আট বছর ধরে আমি দল করছি। এই প্রথম দেখলাম আমাদের বিধানসভা ভোটে কোনও কাজে না লাগানো হল না। দু’মাস হতে চলল। অথচ কারও কোনও হেলদোল নেই। কেন হার হল, তা নিয়ে আত্মসমালোচনার জন্য কোনও বৈঠক হয়নি। কী ভাবে সংগঠনকে মজবুত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়েও উচ্চবাচ্য নেই। তাই আমি নিজেকে সরিয়ে নিলাম।” পাশাপাশি সুধা জানিয়েছেন, তিনি দল ছাড়বেন না। সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করে যাবেন।
তবে এই জট কেটে যাবে বলেই মনে করছে আসানসোলের বিজেপি নেতারা। বিজেপির আসানসোল জেলার আহ্বায়ক শিবরাম বর্মণ বলছেন, “ওঁর একটু রাগ হয়েছে। আমরা বসে মিটিয়ে নেব।” পাশাপাশি সুধা-কাণ্ড নিয়ে বিজেপিকে বিঁধছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “খনি এলাকায় প্রায়শই ধসের খবর শুনতে পাওয়া যায়। বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর, অহরহ সেই ধস এখন নামছে বিজেপিতে। কেউ দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। কেউ বা আবার রাতারাতি সমস্ত পদ থেকেই ইস্তফা দিচ্ছেন।”