হাইকোর্টের হলফনামা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা ফের হাইকোর্টেই পাঠিয়ে দেয়। সেই মতোই এবার নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা পেশ সংক্রান্ত মামলার রায়দান হবে বুধবার। মঙ্গলবার জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হলফনামা গৃহীত হবে কি না বুধবারই তার রায় দিতে পারে আদালত।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামার যে আবেদন তা গ্রহণ করতে হবে হাইকোর্টকে। শুনানি হবে আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয়। আদৌ মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করা হবে কি না তা নিয়ে এই শুনানি চলে। এদিনও রাজ্য সরকারের কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন ছোড়েন, কেন সঠিক সময়ে হলফনামা জমা পড়ল না।
গত ১৭ মে নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মত চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরই সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৬ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে আদালতে চার নেতার গ্রেফতারি নিয়ে যখন শুনানি চলছিল, তখন সেখানে হাজির হন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এই দুই ঘটনাকে আদালতে ‘হাতিয়ার’ করে সিবিআই।
প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের বক্তব্য, দলীয় মন্ত্রী-বিধায়ককে গ্রেফতার করার পর যদি মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই দফতরে গিয়ে ধরনায় বসেন, তাতে তদন্তে যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। একইসঙ্গে সিবিআই প্রশ্ন তোলে, আইনমন্ত্রী কী ভাবে আদালতে গিয়ে হাজির হতে পারেন? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর কাছে হলফনামা চায় হাইকোর্ট। তা তাঁরা পেশও করেন। কিন্তু সময়ের পরে হলফনামা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তুলে তা নিতে অস্বীকার করেছিল হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।