সোমবার গভীর রাতে জম্মুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার আকাশে ফের দেখা মিলল সন্দেহভাজন ড্রোনের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জম্মুর কুঞ্জওয়ানি ও রতনুচক ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ড্রোনগুলি দেখা যায়। রাত দেড়টা থেকে ভোর চারটের মধ্যে কালুচকে সেনাঘাঁটির কাছেও উড়ন্ত যানগুলিকে দেখা যায়। এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রতিরক্ষা মহলে। কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান আইজিপি বিজয় কুমার বলেন, “এটা খুবই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তি দিয়েই এর মোকাবিলা করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ভারতকে রক্তাক্ত করতে বর্তমানে মরিয়া জেহাদিরা। এবার ড্রোন ব্যবহার করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর হামলা চলানোর পরিকল্পনা করছে জঙ্গী সংগঠনগুলি। এদিকে, জম্মু বিমানঘাঁটিতে হওয়া হামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাতে জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে জম্মু বিমানবন্দরের এয়ার ফোর্স স্টেশন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অন্য এক আশঙ্কা তৈরি করে দেয় ওই হামলা।
এই প্রথমবার, ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ব্যবহৃত হয় ড্রোন। এতদিন সীমান্ত পার করে অস্ত্র পাচারে ব্যবহার হত এই যন্ত্র। এবার সরাসরি বিস্ফোরক ছুঁড়ে বিস্ফোরণ ঘটাতেও ব্যবহার করা হল এই ছোট্ট যন্ত্রটি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে থাকা এলাকায় হামলা চালাতে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে এই ড্রোন। ফলে সতর্ক থাকতে হবে বাহিনীকে। এরমধ্যেই গতকাল লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডারকে এনকাউন্টারে নিহত করেছে ভারতীয় সেনা। তাই এর পাল্টা হামলা হওয়ার আশঙ্কায় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে জওয়ানরা।