২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে কোচবিহার লোকসভার উপ-নির্বাচনের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের হাঁটুর হাড় ভেঙেছিল। তারপর শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। চিকিৎসকদের পরামর্শে ২০১৭ সাল থেকে লাঠি নিয়ে চলাফেরা শুরু করেন তিনি। কিন্তু এখন আর ‘খোঁড়া বাদশা’-র হাতে আর লাঠি নেই! দিব্যি সোজা হয়ে হাঁটছেন তিনি, কোনও সাহায্য ছাড়াই। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দলের অন্দরে।
কথা হচ্ছে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে নিয়ে। যিনি আগে জোড়াফুল শিবিরেই ছিলেন। তাঁর হাঁটার সঙ্গী লাঠিটি কোথায়? গুঞ্জন শুরু হয়েছে মিহিরের প্রাক্তন দল তৃণমূল পরিষদীয় দলের অন্দরে। গত বিধানসভায় মিহির ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। নির্বাচিত হয়েছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক হিসেবে। এবার তিনি নাটাবাড়ি থেকে বিজেপির বিধায়ক হয়েছেন। দল ও আসন উভয়ই বদলে গিয়েছে মিহিরের। সঙ্গে বদলে গিয়েছে চলার ধরনও।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর পায়ের সমস্যার জেরে মিহিরকে হাঁটতে হত লাঠিতে ভর দিয়ে। বিধানসভায় অধিবেশনে অংশ নিতে এলেও লাঠি হাতে তাঁকে চলাফেরা করতে হত। চিকিৎসকদের পরামর্শেই লাঠি নিয়ে চলতেন তিনি। সোমবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদল এবং বিএ কমিটির বৈঠকে বিজেপি প্রতিনিধি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন মিহির। সেখানে তাঁকে লাঠি ছাড়া হাঁটতে দেখেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থরা। বৈঠক শেষে পরিষদীয় দলের ঘরে আলোচনা শুরু হয়, মিহিরের হাতের লাঠি কোথায় গেল?