বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে। যদিও সেই থার্ড ওয়েভ কবে আসবে, তা কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি। তবে সংক্রমণের সেই ঢেউ আসবে নিশ্চিত জেনেই প্রস্তুতি সারছে প্রশাসন। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের শিশু হাসপাতালে আট শিশুর শরীরে করোনা ধরা পড়ল। গত ৪ দিনে কোলাঘাট-মেচেদা সংলগ্ন নানা এলাকা থেকে ভর্তি হয়েছে এই শিশুরা। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার প্রবীর ভৌমিক জানান, বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। দেখা যাচ্ছে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত। গত তিন থেকে চার দিনে ধরে শিশুদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাহলে কি করোনার তৃতীয় ঢেউ শীঘ্রই থাবা বসাচ্ছে, সেই নিয়ে চিন্তিত ডাক্তার মহল। যে হারে ক্রমাগত করোনার উপসর্গ রূপ বদলাছে সেখানেই চিন্তার বিষয় বলে জানান প্রবীর ভৌমিক। প্রসঙ্গতই শিশুদের পরিবারের করোনা পরীক্ষা করা হলে, তারাও করোনা পজিটিভ আসেন। তাঁদেরও চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিশুদের করোনা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এবার নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা। বলা হচ্ছে চিকিৎসকরা শিশুদের হাত দেখেই বলে দিতে পারবেন শিশুটি করোনা আক্রান্ত কিনা। সম্প্রতি করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য ১০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মূল লক্ষ্য শিশু করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দ্রুত গড়ে তোলা। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি।