জগৎব্যাপী পর্যটন মানচিত্রে বাংলার স্থান বহু প্রাচীন। এবার সেই স্থানকে আরও পোক্ত করার লক্ষ্যে বড় উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। তৃতীয় তৃণমূল সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকেই পর্যটন প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। রথযাত্রার আগেই যাতে হুগলীর মাহেশের সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ করা যায় তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন ইন্দ্রনীলবাবু। এবার উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের পর্যটক আবাস ও পর্যটনস্থল নিজে ঘুরে দেখছেন মন্ত্রী। পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে দিচ্ছেন বিভিন্ন পরামর্শ এবং নির্দেশ।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রীকে দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায়। ঘুরে দেখে যশের প্রভাব কাটিয়ে ওঠা এলাকা। সরেজমিনে ঘুরে দেখেন পর্যটক আবাস। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী মাসের মধ্যেই এই পর্যটক আবাস পর্যটকদের জন্যে খুলে দিতে হবে। সেজন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাও বলেছেন পর্যটন মন্ত্রী। এদিন দিঘা, মন্দারমণি ও তাজপুর এলাকার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইন্দ্রনীল সেন। হোটেল প্রতিনিধিদের মন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশের মধ্যে প্রথম পর্যটন ও হোটেল শিল্পের সাথে যুক্ত মানুষদের করোনা মুক্ত রাখার জন্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, দিঘা, মন্দারমণি ও তাজপুরের পর্যটনের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কী কী করা যায় তার প্রস্তাব প্রতিনিধিদের থেকে চান মন্ত্রী। বলেন, সমস্যা সমাধানে পর্যটন দফতর নোডাল অথরিটি হিসেবে কাজ করবে। দিঘার কাছেই নতুন পর্যটন স্থল নৈকালীও ঘুরে দেখেন পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। জানান, পর্যটন দফতর সেখানে ২ টি হাউসবোট ও ১ টি ভাসমান রেস্তোরাঁ তৈরি করছেন। দিঘা থেকে পর্যটকরা নৈকালী মন্দিরে পূজা দিয়ে ভাসমান আধুনিক হাউসবোটে থাকতে করতে পারবেন। পূর্ব মেদিনীপুরের শঙ্করপুরে একটি নতুন সরকারি পর্যটক আবাস তৈরি করা যায় কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পর্যটন দফতর।