করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়েছিল গোটা দেশ। অন্যদিকে, এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে বিপদে পড়েছে মাওবাদী শিবিরগুলিও। সম্প্রতি গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। মাওবাদীরা প্রথম দিকে নিজেদের শিবিরে কোভিড সংক্রমণের কথা একেবারেই স্বীকার করছিল না। তবে এখন তারাও আর সেই তথ্য চেপে রাখতে পারছে না।
মাওবাদীদের তেলেঙ্গানা রাজ্য কমিটির তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, গত ২১ জুন কমিটির সম্পাদক ইয়াপা নারায়ণ ওরফে হরিভূষণের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। সরকার তাঁর মাথার দাম রেখেছিল ৪০ লক্ষ টাকা। এর কিছু দিনের মাথায় ইন্দ্রাবতী এলাকায় রাজ্য কমিটির আর এক সদস্যও কোভিড-১৯-এ মারা গিয়েছে। সিদ্দাবোনা সারাক্কা ওরফে ভারতক্কা নামে ওই মাওবাদী নেতার মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা।
শুধু এই দুই শীর্ষ নেতাই নয়, সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা কয়েকটি গোয়েন্দা আর পুলিশ রিপোর্ট বলছে, গত কয়েক মাসে কোভিড-১৯-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জন মাওবাদীর। সংক্রমিতের সংখ্যাও প্রতি দিন বেড়ে চলেছে। ছত্তিশগড়ের এক মাওবাদী অধ্যুষিত জেলার এসপি জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর আছে আপাতত ২০ জন মাওবাদী জঙ্গলের ভিতর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রথমে করোনা সংক্রমণের কথা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর বানানো বলে দাবি করেছিল মাওবাদী নেতৃত্ব। কিন্তু শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের একের পর এক মৃত্যুতে সংক্রমণ ছড়ানোর কথা অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছে তারাও। পুলিশ বলছে, মাওবাদী শিবিরে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর মূলে হল দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিও বিপর্যস্ত। আর সেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে গিয়েই সংক্রমিত হচ্ছে মাওবাদীরা। ফলত তারা সবদিক দিয়েই প্রবল চাপে ভুগছেন।