কসবা টিকা জালিয়াতির মূল পাণ্ডা ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারির পরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। কোনওভাবেই যাতে আর রাজ্যের মানুষ টিকা জালিয়াতির শিকার না হন, তার জন্য রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলা শাসকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচকে দ্বিবেদী। শুধু তাই নয়, দেবাঞ্জন দেবের ঘটনার পর এদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাই সোমবার বন্ধ রাখা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি টিকাকরণ ক্যাম্প। শুধুমাত্র সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এদিন দেওয়া হচ্ছে টিকা।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলি রাজ্য সরকারের হোক বা বেসরকারিভাবে চালানো হোক, সমস্ত টিকা কেন্দ্রগুলিকেই প্রশাসন অনুমোদিত হতে হবে। টিকা কেন্দ্রগুলিকে অনুমোদিত সিভিসি নম্বর ও এবং বাধ্যতামূলকভাবে ‘কোউইন’ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। একইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে ভ্যাকসিনগুলি সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে, সেগুলির নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বর এবং ডেট অফ এক্সপায়েরি লিখতে হবে।
ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব মিউনিসিপ্যালিটি গুলিকে যাতে এ বিষয়ে দ্রুত সতর্ক করা হয়। অর্থাৎ, দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর সরকারি হোক বা বেসরকারি উদ্যোগ, সকলকেই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট প্রটোকল মানতে হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসচিব এই মর্মে একটি বিস্তারিত অ্যাডভাইজারি শীঘ্রই জারি করতে পারেন। সোমবার স্বাস্থ্য কর্তারা বৈঠকে বসেই সেই অ্যাডভাইজারির পূর্ণাঙ্গ রূপ তৈরি করতে পারেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্য সচিব এইচকে দ্বিবেদী জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠকে কড়া হাতে টিকা জালিয়াতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে কোনওভাবেই না হয়, তার জন্য কড়া নজরদারির কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।