গোটা রাজ্য জুড়ে সিপিএম কর্মীদের ব্যাপক পেটাচ্ছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ ত্রিপুরার সিপিএম কর্মীদের। দিন দুয়েক আগেই তেলিয়ামুড়া অঞ্চলে ৫ দফা দাবি নিয়ে থানায় ডেপুটেশন জমা দিতে গেলে প্রকাশ্যেই সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়,তার পর থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ।
জনস্বার্থে নানা দাবি আদায়ে গোটা ত্রিপুরা জুড়েই প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাচ্ছে বামেরা। সিপিএমের গণসংগঠন ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে ৫ দফা দাবি নিয়ে তেলিয়ামুড়া মহাকুমার থানায় যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। থানায় যাওয়ার সময়েই আক্রান্ত হলেন সিপিআইএম তেলিয়ামুড়া মহাকুমার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অজয় ঘোষ সহ ১২ জন। আহতদের তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অজয় ঘোষ হরিপদ সরকার, সুকুমার দাসের প্রাণের ঝুঁকি থাকায় তাদের পরে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল।
সিপিএমের ডেপুটেশন এ যে পাঁচটি দাবি জানানো হয়েছে তার প্রধান হল ৬০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে ২০০ দিনের কাজ, করোনার সময়ে নীচুতলার মানুষকে সাহায্য করা, পানীয় জল সমস্যার সমাধান করা ইত্যাদি। এই দাবিদাওয়াগুলো ডেপুটেশন হিসেবে জমা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দিনের বেলাতেই মিছিল বেরিয়েছিল। অভিযোগ পুলিশের সামনে আচমকা ১০-১৫ টি বাইকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মিছিলের গতিরুদ্ধ করে। প্রকাশ্যেই ইট পাটকেল ছোঁড়া হয়। এলোপাথাড়ি লাঠি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সিপিএম-এর বেশ কয়েকজন সমর্থক নেতাকর্মী। এক কথায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
রাজনৈতিক মহল বলছে ভোট যত এগোচ্ছে ত্রিপুরা সংঘটিত রাজনৈতিক হিংসার পরিমাণও ততই বাড়ছে। তারা মনে করছেন, এই হিংসার পিছনে অন্য মনস্তত্ত্ব রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, ঘুন ধরেছে বিপ্লব দেব প্রশাসনের বহুস্তরেই। এই এই অবস্থায় প্রবল প্রতিপক্ষ সিপিএম-এর আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা।