রয়োজনের তুলনায় দিল্লী চারগুণ বেশি অক্সিজেন দাবি করেছিল, টাস্ক ফোর্সের অডিট রিপোর্ট নিয়ে তরজা যখন তুঙ্গে, সেই সময়ই টুইটবাণে কেন্দ্রকে বিঁধলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ দিন তিনি টুইটে লেখেন, ‘আপনাদের ঝগড়া শেষ হয়েছে? তবে আসুন একসঙ্গে কাজ করি’।
সুপ্রিম কোর্টের গঠিত টাস্ক ফোর্সের রিপোর্টে দিল্লীর অতিরিক্ত অক্সিজেনের দাবির বিষয়টি সামনে আসতেই তরজা শুরু হয়েছে। আম আদমি পার্টি-র তরফে এই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীও টুইটে দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমার ভুল যে আমি দিল্লীর ২ কোটি মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম’।
তবে এ দিন ফের পুরনো মেজাজেই কেজরিওয়াল টুইট করে লেখেন, ‘অক্সিজেন নিয়ে আপনাদের ঝগড়া শেষ হয়ে গিয়ে থাকলে এ বার একটু কাজ করা যাক? আসুন আমরা সবাই মিলে এমন ব্যবস্থা তৈরি করি, যাতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে কারোর অক্সিজেনের অভাব দেখা না দেয়। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সাধারণ মানুষ চরম অক্সিজেন সঙ্কটের মুখে পড়েছিল। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন তৃতীয় ঢেউ না হয়। আমরা যদি নিজেদের মধ্যে লড়াই করি, তবে করোনাভাইরাস জিতে যাবে। আমরা একসঙ্গে লড়াই করলে দেশ জিতবে’।
শুক্রবার টাস্ক ফোর্সের রিপোর্টে বলা হয়, ‘দিল্লী সরকার প্রতিদিন যে ১১৪০ মেট্রিক টন অক্সিজেন চেয়েছিল, তা প্রকৃত চাহিদার তুলনায় চারগুণ বেশি ছিল। হাসপাতালগুলিতে গড়ে ২৮৪ থেকে ৩৭২ মেট্রিক টন অক্সিজেন ব্যবহার হত। দিল্লীতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করায় অন্যান্য রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহে প্রভাব পড়েছিল’।
তবে এইমসের প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘দিল্লীর অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে অডিট রিপোর্ট একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট। আমার মনে হয় না চারগুণ বেশি অক্সিজেন চাওয়া হয়েছে বলা উচিত। বিষয়টি আপাতত সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে কী বলে, তা জানার জন্য অপেক্ষা করা উচিত’।