কিছুদিন আগেই ভোটে জিতে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তারা। এরই মধ্যে তৃণমূলের দোরে যেন শুভ ইঙ্গিত বয়ে নিয়ে এল লক্ষ্মীর বাহন! তিলজলার তৃণমূল ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এখন সরানো হচ্ছে ভবনের আসবাবপত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি। শুক্রবার সেই নথিপত্র সরাতে গিয়েই দেখা যায় আসবাবপত্রের মধ্যে গুটিসুটি মেরে বসে রয়েছে একটি লক্ষ্মী পেঁচা!
ছাদ লাগোয়া চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হওয়া লক্ষ্মী পেঁচাটিকে নিয়ে কার্যত হুলুস্থুল শুরু হয় তৃণমূলের হেড কোয়ার্টারে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বন দফতরে। বন দফতরের কর্মীরা এসে দেখেন, ডানায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে পেঁচাটি। তাঁরা জানাচ্ছেন উদ্ধার হওয়া পেঁচাটি বার্ন আউল বলে পরিচিত প্রাণী জগতে। তৃণমূল ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া এই লক্ষ্মী পেঁচাটিকে সল্টলেকের বন দফতরের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই হবে তার সেবা শ্রুশুষা।
তিলজলার এই পার্টি অফিস তৈরি হয় ২০০২ সালের ২০ মে। বাংলার রাজনীতিতে অনেক উত্থান-পতনের স্বাক্ষী এই ভবন। একুশের ভোটে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠনকে জোরদার করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে বদলে যাচ্ছে তৃণমূল ভবনের সজ্জাও। গত ৫ জুন তৃণমূল ভবনকে ঢেলে সাজানোর ওপরও জোর দেন নেত্রী। এখন ভবন থেকে জিনিসপত্র সরানোর কাজ চলছে জোরকদমে। আর সেই জিনিস সরাতে গিয়েই উদ্ধার হল লক্ষ্মী পেঁচা।
বাড়িতে লক্ষ্মী পেঁচা পাওয়াকে অনেকে শুভ ইঙ্গিত বলে মনে করেন। একুশের বিধানসভা ভোটে বিরাট ব্যবধানে জয় পেয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে হ্যাটট্রিক করেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কি এবার ফের নতুন কোনও শুভ খবর আসতে চলেছে রাজ্যের শাসক দলের জন্য? লক্ষ্মীর বাহনের আগমনে এখন দলের আরও সমৃদ্ধির আশায় বুক বাঁধছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা।