২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয় ঘটেছিল। আর এবার বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে সিপিএম। নিন্দুকেরা বলছেন, এতদিনে সর্বহারা দল সর্বহারা হল। এই ভোটে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে অবশেষে আলিমুদ্দিনের লালবাড়ি থেকে নেমে এসে নীচুতলার কর্মীদের দুয়ারে যেতে চলেছে সিপিআইএম নেতারা। ইতিমধ্যেই ঝড় উঠেছে পার্টির বৈঠকে। আরও বৈঠক হবে। তবে এই সব বৈঠকই হয়েছে আলিমুদ্দিনের কর্তাদের মধ্যে।
আর এবার নিচুতলার কর্মীদের দুয়ারে যেতে চলেছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। আগামী ৪ জুলাই নিচুতলার কর্মীদের কাছে ভরাডুবির কারণ জানতে চাইবেন মুজফফর আহমেদ ভবনের কর্তারা বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই এই কাজের জন্য অনেকেই যেমন সাধুবাদ জানিয়েছেন, তেমনই এই উদ্যোগকে ‘কর্মীদের দুয়ারে সিপিএম’ বলে নামকরণও করেছেন।
ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে নানা মাধ্যমে জনগণের মতামত, পরামর্শ নেবেন তাঁরা। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন। সেই উদ্যোগকে জনতার দরবার বলা হচ্ছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ভার্চুয়ালি রাজ্যের সমস্ত পার্টি সদস্যদের কাছে এভাবে ভোটে ভরাডুবি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হবে। এমনকী পরবর্তী দিনে পার্টি কিভাবে চলবে সেই ইঙ্গিতও দেওয়া হবে। অক্টোবর মাস থেকে নিচুতলার সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। তার আগে আলিমুদ্দিনের এই উদ্যোগ ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য কমিটির নেতা বলছেন, “সরকার যদি মানুষের দুয়ারে আসতে পারে, তাহলে কর্মীদের দুয়ারে নেতারাও যেতে পারেন। এবার সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।” নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর হতাশা গ্রাস করেছে নীচুতলার কর্মীদের। বাড়িতে অথবা পার্টি অফিসে সীমাবদ্ধ রেখেছেন নিজেদের। আর সেখান থেকেই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন তাঁরা। নির্বাচনে ভরাডুবিকে কেন্দ্র করে পার্টির শৃঙ্খলাও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়েছে। আর তা আঁচ করতে পেরেই অবশেষে নিজেদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলিমুদ্দিনের হত্তা-কর্তা-বিধাতারা।